আল্লাহ কে ? পর্ব -3
আল্লাহ কে ? পর্ব -3
Facebook,
youtube, google,wcompedia নিম্নের বিষয়গুলো টাইপ করুন। দেখবেন পশু-পাখি কিভাবে “আল্লাহ” নাম উচ্চারণ করে।
1- New born baby says
allah allahand die say allah allah
2- Crow says allah seven
times
3- Hen saying allah allah
4- Lion says allah allah
5- More lion says allah
allah
6- Cow saying allah allah
7- Small dog says allah
allah
প্রিয় পাঠক-পাঠিকা! আপনারা কি কখনো শুনেছেন বা দেখেছেন? যে, কোনো প্রাকৃতিক কিছুর মাঝে লেখা আছে “ ঈশ্বর বা ভগবান”? আমার মনে হয় তা কখনও দেখেন নি এবং তা শুনেন নি। যদি পৃথিবীর কোথাও দেখা যেতো, তাহলে তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমাদের পর্যন্ত পৌঁছে যেত। এর দ্বারা বুঝা যায় “আল্লাহ”ছাড়া অন্য কোনো শব্দে ডাকা বা অন্য কাউকে মানা, যেমন ঈশ্বর, সদাপ্রভূ, যীশুখ্রিষ্ট, ভগবান, ইত্যাদি নামে ডাকা বা মানা নেহায়েত বোকামি ছাড়া আর কিছুই না।
আসুন! আমরা আল্লাহকে “আল্লাহ” বলে ডাকি এবং শুধু মাত্র তাঁরই উপাসনা করি। আল্লাহকে ডাকলে ও তাকে মানলেই দুনিয়া ও আখেরাতে মুক্তি পাওয়া যাবে, অন্যথায় মুক্তির কল্পনাও করা যাবে না। এই আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করা যাবে না।
আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা সবচেয়ে বড় গোনাহ
প্রকৃত প্রভু-আল্লাহ পাকের পবিত্র বাণী কুরআনুল কারীমের ভাষ্য মতে- নেককাজ ছোট ও বড়; এই দুই প্রকারে বিভক্ত। তেমনিভাবে তাঁর নিকট পাপ এবং পাপাচারও দুই প্রকারে বিভক্ত। তিনি আমাদেরকে বলেছেন, যে পাপের কারণে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি হবে, যে পাপ কখনো ক্ষমা করবেন না, যে পাপের কারণে আমৃত্যু জাহান্নামের কঠিন আগুনে জ্বলতে হবে, সেই পাপ হলো অদ্বিতীয় মহান মালিক আল্লাহর সাথে কাউকে ‘শরীক করা’।
এক আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো সামনে মাথা নত করা, হাত জোড় করা, তাঁকে রেখে অন্য কাউকে উপাসনার যোগ্য মনে করা; জন্ম-মৃত্যুদানকারী, রিযিকদাতা, ত্রাণকর্তা ও পাপ থেকে মুক্তিদাতা মনে করা মারাত্মক গর্হিত কাজ। দেব-দেবী, চন্দ্র-সূর্য, নবী-রসুল এবং যে কোনো বস্তুকে উপাসনার উপযুক্ত মনে করা শিরক। আল্লাহ তা‘আলা যা কখনোই ক্ষমা করবেন না। শিরক ছাড়া অন্য যে কোনো গোনাহ আল্লাহ চাইলে ক্ষমা করে দিতে পারেন। আমাদের বিবেকের কাছেও অংশিদারিত্ব মারাত্মক গর্হিত কাজ। অংশিদারিত্বকে আমরাও কোনোদিন মেনে নিতে পারি না। যেমন- কারো স্ত্রী ঝগড়াটে, মন্দচারিণী, অবাধ্য এবং বেপরোয়া স্বভাবের ; স্বামী তাকে ঘর থেকে বেড়িয়ে যেতে বলার পর সে বলতে থাকে, আমি শুধু তোমার, তোমারই থাকবো, তোমার দরজায় মরবো, একপলকের জন্যও তোমার ঘর থেকে বেড়িয়ে যাবো না, তাহলে স্বামী শত গোস্বার পরও তাকে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে। অপরদিকে কারো স্ত্রী অত্যন্ত স্বামী সোহাগা এবং অনুগত; সর্বদা সে স্বামীর চিন্তায় অস্থির। স্বামী গভীর রাতে ঘরে ফিরলে তার অপেক্ষায় বসে থাকে, খাবার গরম করে দেয়, প্রেম-ভালোবাসায় স্বামীকে ডুবিয়ে রাখে। একদিন প্রিয় স্ত্রী আদরের স্বামীকে বলে, তুমি তো আমার জীবন সঙ্গী। তোমার উপর আমার কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু তোমার একার দ্বারা আমার চাহিদা মেটে না। তাই আমার অমুক পড়শীকেও আজ থেকে আমার স্বমীরূপে গ্রহণ করলাম। সামান্যতম আত্মমর্যাদাবোধ যদি সেই স্বামীর থাকে, তাহলে কখনোই সে তা সহ্য করতে পারবে না। হয়তো সে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করবে অথবা নিজে আত্মহত্যা করবে।
এটা কেন হচ্ছে? তার একমাত্র কারণ হলো, স্বামী কখনোই স্ত্রীর উপর প্রতিষ্ঠিত অধিকারে অন্য কাউকে অংশীদার হিসেবে দেখতে চায় না। একটি শুক্রকণা থেকে সৃষ্টি মানুষ যখন অংশীদারিত্বকে মেনে নিতে পারে না, তাহলে যে মহান প্রভু নাপাক ক্ষুদ্রকীট হতে মানুষ সৃষ্টি করেছেন তিনি কী করে তাঁর একক সৃষ্টিতে অংশীদারিত্ব মেনে নিবেন? তার সাথে অন্য কারো উপাসনা মেনে নিবেন? যখন দুনিয়ার সবকিছু তিনিই দিয়েছেন।
যেভাবে একজন চরিত্রহীন নারী সব পুরুষকে আশ্রয় দেয়ার ফলে নীচু বলে পরিচিতি লাভ করে, তেমনি আল্লাহর দরাবরে ঐ ব্যক্তি আরো বেশি নিকৃষ্ট, যে তাঁকে ছেড়ে অন্য কোনো জিনিসের উপাসনায় মগ্ন হয়।
প্রিয় পাঠক! আসুন! আমরা এক আল্লাহর উপসনা করি এবং তার সাথে কাওকে শরিক না করি। তাঁর প্রেরিত নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নবী হিসাবে মানি এবং পরকালের উপর বিশ্বাস রেখে পাক্কা মুসলমান হয়ে যাই। আল্লাহ আমাদেরকে তৌফিক দান করুন। আমিন!
No comments