ইসলাম মানুষকে সত্য ও সুন্দর পথ দেখায় !

ইসলাম এমন এক ধর্ম যা মানুষ ও মানব জাতির জন্যে দিনকে দিন উন্নতর ও উচ্চতর সোপান গুলো অতিক্রমের সুযোগ এনে দেয় ৷ যারা উন্নতি চায় তাদের জন্য প্রতিদিনিই উন্নতির নতুন দিগন্ত খুলে দেয় এই মহান ধর্ম ৷বিকৃত নানা মত-পথ ও ধর্ম মানুষকে ডুবিয়ে রাখে অন্ধকারের অমানিশায় ৷কিন্তু যারা সত্য-সন্ধানী তারা বিচ্যুতির চোরাবালিতে তলিয়ে যেতে প্রস্তুত নন ৷তারা হচ্ছেন এমন মানুষ যারা জীবনের প্রকৃত অর্থ ও লক্ষ্য খুজে বেড়ান ৷আর একমাত্র ইসলামই তাদের কাছে জীবনের প্রকৃত অর্থ ও লক্ষ্য তুলে ধরে ৷ এবং পরিতৃপ্ত করে তাদের তৃষ্ণিত আত্মাকে সত্যের অমীয় ধারায়৷ নিউওয়ার্কের মার্কিন নও মুসলিম অধ্যাপক খৃষ্টান এরিক ক্রাওস এমনই একজন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি ৷ সাবেক ক্রাওস এখন আব্দুল লতিফ আব্দুল্লাহ ৷তার মতে একমাত্র মুসলমানই আল্লাহর অনুগ্রহের গভীরতা ,অন্যদের চেয়ে ভালভাবে অনুভব করতে পারেন ৷কারণ একজন মুসলমান প্রতিদিনই আল্লাহর সামনে সিজদাবনত হন ৷একজন প্রকৃত মুসলমান নিজের ইচ্ছাকে সমর্পণ করেন ৷ মার্কিন নও মুসলিম স্টিভেন ক্রাওস মনে করেন ইসলাম ধর্ম ইহুদি বা খৃষ্টান ধর্মের মত নিছক কিছু বিশ্বাসের সমষ্টি নয় ৷বরং ইসলাম মানুষকে সত্য পথ দেখায় ৷ প্রকৃত ক্ষমতার উৎস তথা আল্লাহর কাছে পৌছে দেয় এই মহান ধর্ম ৷ একজন ক্রাওস নয় এমন হাজারো লক্ষ্য মানুষ ইসলাম নামক বৃক্ষের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়ে তাদের তৃষ্ণিত আত্মাকে দিয়েছে সত্যের অমীয় সুদা ৷পৃথিবীর ইতিহাসে এক মূর্খ জাতি ছিলো আরব ৷লুটতরাজ ও খুন-খারাবি ছিলো তাদের পেশা ৷ আর নাচ গান ও মদ জুয়া ছিলো তাদের নেশা ৷এমন কোন অন্যায় কাজ ছিলোনা যা তারা জানতোনা ৷এমন কোন পাপ ছিলোনা যা তারা করতো না ৷কিন্তু পৃথিবী আজ উল্টো কথা বলছে, সভ্য সুশৃঙ্খল জাতি হিসেবে তারাই বিবেচিত হচ্ছে ৷ গোটা-বিশ্ব আজ তাদেরই পদাঙ্ক অনুসরণ করছে ৷এমন কি প্রতিভা সুপ্ত ছিলো তাদের মাঝে, যা সময়ের ব্যবধানে রাহজান থেকে হয়ে গেছে রাহবার ৷এই পরিবর্তন কোন্ প্রতিবার কারণে নয়, বিশ্ব মানবতার দূত হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীতে যেই শান্তির বার্তা নিয়ে এসেছিলেন যা তাদেরকে হাজার বছরের গুমরাহি থেকে বের করে দিয়েছিলো, সুখময় জীবনের সন্ধান ৷ অমূল পরিবর্তন এসেছিলো তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্টের মাঝে ৷জাগিয়েছিলো মনুষ্যত্ববোধ হিংসা বিদ্বেষ দূর করে গড়েছিলো ভ্রাত্বিতের বন্ধন ৷ইসলাম কোন আনুষ্ঠানিকতার নাম নয় ৷ইসলাম হলো পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা ৷সুস্থ জীবন যাপনের সব বিধানই রয়েছে ইসলামে ৷মানুষ যখন ইসলামী পরিবেশে থাকে তখন তার দৈনন্দিন জীবন থেকে ইসলামকে পৃথক বা বিচ্ছিন্ন মনে করে না ৷কিন্তু এটা হলো খৃষ্টান ধর্মের বিপরিত, খৃষ্টান ধর্ম প্রাত্যহিক জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন ৷ ইসলাম প্রতিটি দিনের রুটিন ,কাজ-কর্মকে এবাদতের দৃষ্টিতে দেখছে বলেই মানসিক প্রশান্তি সবসময়ই মানুষের জন্য জরুরী বা অপরিহার্য চাহিদা৷আর এই চাহিদা যা দিনকে দিন বাড়ছে ৷কারণ বর্তমানে বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ হতাশা ও উত্তেজনার মাঝে নানা ধরনের মানসিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ৷ মহান আল্লাহর সাথে সম্পর্কহীনতা হলো মানসিক রোগগুলির অন্যতম প্রধান কারণ ৷ অন্যথায় আল্লাহর সাথে যাদের সম্পর্ক যত শিথিল বা দূর্বল তারা তত বেশি মানসিক রোগে আক্রান্ত ৷অথচ মুমিন মুসলমানদের কাছে আল্লাহর শক্তি ও মর্যাদা বা স্থান সবকিছুর উর্ধ্বে ৷ "আল্লাহ"মুসলমানদের কাছে নিছক কোন বিশ্বাসের নাম নয় ৷ একই সঙ্গে তিনি মানুষের সবচেয়ে কাছের সত্তা বা আপনজন৷ সূরা কাফের ১৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে, “আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি এবং তার মন নিভূতে যে কুচিন্তা করে সে সমন্ধেও আমি অবগত আছি ৷আমি তার গ্রীবঞ্চিত ধমনি থেকেও আরো কাছে রয়েছি”!!সৌভাগ্য ও কল্যানের পথ প্রদর্শক হিসেবে আল্লাহর উপস্থিতিকে মানুষ অনুভব করতে সক্ষম ৷ ঈমান যে মানুষের মানসিক রোগ সারাতে পারে তা স্বীকার করেছেন বিখ্যাত মার্কিন দার্শনিক ও মনোস্তাত্তিক জেসম ৷নওমুসলিম স্টিভেন ক্রাওস মনে করেন ইসলামই তাকে দেখিয়েছে যে,কেন ঈমানহীন মানুষ হতাশা ও মানসিক প্রশান্তিহীনতার শিকার হয়! তিনি আল্লাহবিহীন জীবনকে ভয়ানক বলে মন্তব্য করেছেন ৷ক্রাওস বলেছেন আমি এটা ভালভাবে বুঝেছি, কারণ একসময় আমি নিজেই এই ভয়ানক আতঙ্ক অনুভব করতাম ৷কিন্তু মুসলমান হওয়ার পর এখন ব্যক্তিত্বের স্বাধীনতার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে গিয়েছি৷ অথচ এই স্বাধীনতায় আমার কোন হাত নেই, সব-কিছু রয়েছে আল্লাহর হাতে৷ যেখানে যা থাকা উচিত তাই রয়েছে ইসলামের বিধানে, তাই জীবনকে এখন অর্থপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল মনে হয় ৷আমরা আশাবাদী এবং দোয়া করি মাওলা কারিম যেনো পথহারা প্রতিটা মানুষকে ক্রাওস এর মত ইসলামকে বুঝার মত শক্তি দান করেন ,যেনো তারাও ইসলামের সঠিক জ্ঞান লাভ করে জীবনের  মূল্য বুঝে প্রকৃত শান্তি অনুভব করতে পারে ৷ আমিন !