Header Ads

স্বাধীনতার পক্ষের একজন লড়াকু সৈনিক ছিলেন মাওলানা শামসুল হুদা পাঁচবাগী রহ.


স্বাধীনতার পক্ষের একজন লড়াকু সৈনিক ছিলেন মাওলানা শামসুল হুদা পাঁচবাগী (রহ:)। ব্রিটিশ ও পাকিস্থান আমলে স্বাধীনতার পক্ষের লড়াকু সৈনিক মাওলানা শামছুল হুদা পাঁচবাগী (রহ:) ছিলেন গফরগাঁও ও ভালুকা আসনের এমএলএ। মাওলানা মো: শামছুল হুদা পাচঁবাগী সাহেব ইংরেজী ১৮৯৭ খৃষ্টাদ্ধে তথা বাংলা ১৩০৩ সালের ফাল্গুন মাসে ময়মনসিংহ জেলার দক্ষিন মহকুমার অধীন গফরগাঁও থানার অর্ন্তগত মাইজবাড়ী নামক একটি ছুট্টগ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। পরবর্তীতে তার পিতা গফরগাঁও এর পাচঁবাগ নামক গ্রামে বসতি স্থাপন করেন। আজ সেই পাচঁবাগ গ্রামটি এই ক্ষনজন্মা মহাপুরুষের বাসস্থান হওয়ার জন্য বিখ্যাত এবং সেখানকার অধিবাসীরা সেই জন্য ধন্য । পাশাপাশি তিনিও এই গ্রামেই লালিত পালিত হয়ে বিশ্বের দরবারে মাওলানা পাচঁবাগী নামেই খ্যাতিলাভ করেছেন। জন্মসুত্রে তিনি এমন পিতার সন্তান ছিলেন যিনি শিক্ষা, সাধনায়, জ্ঞানে ও অধ্যাত্বিকতায় যতেষ্ট উৎকর্ষ স্বাধন করে ছিলেন। তার নাম মৌলভী ক্বারী মো: রিয়াজ উদ্দিন। পীরে কামেল ও মোকাম্মেল হিসাবে তিনি বিখ্যাত ছিলেন। তিনি ভারতের বিখ্যাত আলেম রশিদ আহম্মদ গঙ্গুহী (র:) এর খলিফা ছিলেন। অন্যাদিকে তার মাতা উম্মে কুলসুম ছিলেন অতি ধার্মিক ও আধ্যাত্বিক জ্ঞান সম্পন্না আল্লাহ ওয়ালী। পিতা মাতা তার নাম রেখে ছিলেন মো: শামছুল হুদা। শামছুল হুদা অর্থ হেদায়েতের সুর্য। মাওলানা মো: শামছুল হুদা শৈশবকাল হতেই তীক্ষè মেধা ও বুদ্ধির অধিকারী ছিলেন। শিশুকালে তিনি মাতার নিকট শিশু শিক্ষা শুরু করেন। কোন স্কুল বা মাদরাসায় ভর্তি না হয়ে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। তিনি এতই মেধাশক্তির অধিকারী ছিলেন যে কোন বিষয়ই একবারের অধিক পরার প্রয়োজন হতোনা। তবে এই অসাধারন স্মৃতিশক্তি ও তীক্ষè বুদ্ধি আল্লাহ পাকের খাস দান বলে তিনি নিজেই বর্ননা করেছেন। তিনি বলেছেন, একদিন তার পিতার ঘোড়ার নিকট তিনি দাড়ানো ছিলেন, তখন হটাৎ করে একজন সুন্দর পোষাক পরিহিত ব্যাক্তি তাকে বললেন, এই ঘোড়াটি আমাকে দিবে, তখন তিনি বললেন ঘোড়াটি আমার থাকলে আমি দিয়ে দিতাম। আপনি একটু অপেক্ষা করুন, আমি আব্বার অনুমতি নিয়ে আসি। তখন বুজুর্গ ব্যাক্তি বললেন, তোমি আমাকে ঘোড়াটি দিয়ে দিতে চেয়েছ এটি সঠিক। তাই আমি তোমার উপর সন্তুষ্ট। এরপর তিনি অন্যদিকে ফিরে কি জানি দেখলেন আবার বুজুর্গ ব্যাক্তির দিকে ফিরে তাকাতেই দেখলেন তিনি আর নেই। মাদরাসায় ভর্তির পর হতেই শামছুল হুদার প্রতিভার বিকাশ ঘটতে থাকে। তিনি খুব আগ্রহের সাথে প্রতিটি শ্রেনীতে সিলেবাস বর্হিভুত নানা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে থাকেন। প্রথম বিভাগে প্রথম হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করে ছিলেন। তিনি জামাত ই উলা চুড়ান্ত পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৯৮% নম্বর প্রাপ্ত হয়ে মাত্র ১২ বছর বয়সে প্রথম শ্রেনীতে প্রথম স্থান অধিকার করত: স্বর্নপদক লাভ করেন অতপর উচ্চ শিক্ষার ব্যাপারে তিনি তার উস্তাদগনের সাথে পরামর্শ ক্রমে দীনি এলেমের সাথে বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষা লাভের জন্য ভারতের রামপুর স্ট্রেট মাদরাসায় ভর্তি হয়ে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে সেখানে গমন করেন। তথায় স্বর্নপদকপ্রাপ্ত ছাত্রকে দেখার জন্য শিক্ষিত মহলে সাড়া পরে যায় এবং রামপুর স্ট্রেটের নবাব বাহাদুর ও ডেকে নিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করে তার প্রতি সম্মান জানান। মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার পুর্বেই হাদিস ক্লাসে সেচ্ছায় প্রনোদিত হয়ে যোগদান করে ছিলেন। সেই ক্লাসের মুহাদ্দিস সাহেব একটি হাদিস অত্যন্ত সুন্দর ভাবে পড়ানোর পর মাওলানা শামছুল হুদা (রহ:) অত্যন্ত বিনয়ের সাথে মুহাদ্দিস সাহেবের সাথে আরজ করলেন যে এই প্রসংগে হযরত আলী (রা:) বর্নিত আরেকটি হাদিস রয়েছে যা উল্লেখ করলে বিষয়টি অধিকতর বোধগম্য ও পরিস্কার হতে পারে। অতপর তিনি সেই হাদিস খানা উস্তাদের অনুমতিক্রমে অত্যন্ত চমৎকার ও বিশুদ্ধভাবে বর্ননা করলেন। উপস্থিত সকলের নিকট তার জ্ঞ্যানের গভীরতা সুস্পষ্ট হয়ে গেল। তৎক্ষনাৎ হাদিসের শিক্ষক মহোদয় বললেন যে ছাত্র হাদিসের এমন উচ্চ পর্যায়ের কিতাব পড়াশোনা করেছে তার আর এখানে ভর্তি হয়ে সময় নষ্ট কারার বরং নিজের দেশে গিয়ে জনগনের সেবা করাই উত্তম। অতপর তিনি কি করবেন চিন্তা করা অবস্থায় মাদরাসার অধ্যক্ষের সাথে পরামর্শ করে ৩০ বছর যাবৎ যিনি দর্শন শাস্ত্রের গবেষনা করে আসছেন এমনকি শিক্ষক ছাত্রদের সমন্বয়ে সপ্তাহে একটি ক্লাস নেয় খুব জটিল ও কঠিন বিষয়ের উপর তার নিকট অনেক শিক্ষক গনই শিক্ষা নিতে ভয় পাইতেন। কিন্তু মাওলানা শামছুল হুদা জ্ঞান পিপাসু থাকায় সেই শিক্ষকের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সেই শিক্ষকের নাম মাওলানা আব্দুল আজিজ সাহারানপুরী। অনেকেই মাওলানা শামছুল হুদা সাহেবের সাক্ষাতের পুর্বে তাকে সাক্ষাত করতে নিষেধ করে ছিলেন। সাক্ষাতের পর উস্তাদ সাহেব জিজ্ঞাস করে ছিলেন তোমি কেন এসেছ। মাওলানা সাহেব তার নিকট দর্শন ও বিজ্ঞান শিক্ষার আবেদন করলেন। শিক্ষক মহোদয় জানালেন এটা খুব কঠিন বিষয়। তোমি ছেলে মানুষ তোমার পক্ষে বুঝা সম্মব হবে কি? কিন্তু শামছুল হুদার অতি আগ্রমে শিক্ষকের অনিচ্ছা থাকা সত্বেও লাইব্রেরী হতে একটি কিতাব এনে নতুন শিক্ষার্থী শামছুল হুদার হাতে দিয়ে বললেন খুব ভাল ভাবে পরে তবে আমার নিকট আসবে। অন্যথায় সময় নষ্ট করবেনা। শামছুল হুদা ভাল ভাবে পড়ে পরের দিন বিকালে বাগানে বসে থাকাবস্থায় উস্তাদের নিকট বইটি নিয়ে হাজির হলেন। ছাত্রের বই নিয়ে হাজির হওয়া দেখে উস্তাদ মনে মনে বিরক্ত হলেন এবং বললেন ভাল ভাবে পড়ে আত্মস্থ করে আসবে শুধৃমাত্র সময় নষ্ট করার জন্য এই ভাবে বিরক্ত করবে না। তখন শামছুল হুদা উত্তর দিলেন হুজুর ভাল ভাবেই পরে এসেছি। উত্তর শোনা মাত্রই উস্তাদ সাহেব সঙ্গে সঙ্গে রাগ ও অবিশ্বাসের ভঙ্গিতে বইটি শিক্ষার্থীর হাত হতে ঝট করে টান দিয়ে নিয়ে নিলেন এবং বেশ কঠিন কঠিন বিষয়ে একটার পর একটা প্রশ্ন করা শুরু করলেন। সঙ্গে সঙ্গে মাওলানা শামছুল হুদা উস্তাদের প্রশ্নের সঠিক সুন্দর ও গোছালো উত্তর দিতে লাগলেন। এই অল্প সময়ের মধ্যে দর্শনশাস্ত্রের এত কঠিন কিতাবের জ্ঞান অর্জন এবং প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর সঠিক ও নির্ভুলের ক্ষমতা দেখে দার্শনিক সাহেব মুগ্ধ ও প্রীত হলেন এবং মনে মনে তার অসাধারন প্রতিভার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন এবং তিনি প্রতিদিন একটি করে মোট ২৯দিন বিরতিহীন ভাবে ২৯টি বই শেষ করার পর ৩০তম দিনে আরেকটি কিতাব সাহারানপুরী শামছুল হুদার হাতে দিয়ে বললেন এই কিতাবটি আধুনিক বিজ্ঞানের আপেক্ষিক গুরুত্ব এর উপর লেখা বই খুবই কঠিন। তাই খুব মনোযোগ সহকারে পড়ে আসবে। পুর্ববই খানা পড়া শেষ করে শামছুল হুদা পরের দিন যথাসময়ে উস্তাদের নিকট উপস্থিত হলেন। অতপর উস্তাদ সাহেব অনেক গুলি কঠিন কঠিন প্রশ্ন করলেন। প্রত্যেকটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়ার পর দার্শানক সাহেব মুগ্ধ ও অবাক হয়ে বলতে লাগলেন যে বিদ্যা অর্জন করতে ৩০ বছর সময় লাগে আর ৩০ দিনে মহান আল্লাহ তোমাকে সেই বিদ্যা দিয়ে দিলেন। এর পর আরো কিছু বই মাওলানা শামছুল হুদা সাহেবের কাছে দিলেন এবং এই সব বই এর কোন প্রশ্ন করেননি। কিছুদিন পর মাওলানা শামছুল হুদা সাহেবকে ডেকে নিয়ে দার্শনিক সাহেব বললেন তোমি দেশে চলে যাও। এখানে বিদ্যা শিক্ষা তোমার শেষ হয়েছে। দেশে গিয়ে সমাজের সেবা কর। তোমাকে বিদ্যা শিক্ষা দেয়া আমার পক্ষে আর সম্বব নয়। অতপর মাওলঅনা শামছুল হুদা সাবেক চিন্তা করলেন জাতি দেশ ও ইসলামের সেবা করতে হলে শাসকের ভাষা জানা আবশ্ব্যক। অতপর ইংরেজি ভাষা শিক্ষার জন্য লাহোরে ওরিয়েন্টাল কলেজে যান। তথায় কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষা বিষয়ে আলোচনা করেন। আলোচনার পর হোস্টেল সুপার মোহাম্মদ দাউদ কাস্মিরী মন্তব্য করলেন যে আপনার সঙ্গে আলোচনা করে যা বুঝা গেল আপনাকে শিক্ষা দেয়ার মত শিক্ষক এখানে নেই। তাছাড়া অনেক শিক্ষক আছেন যারা আপনার উপর শিক্ষা গ্রহন করার উপযুক্ত। এতদ সত্বেও তিনি ইংরেজি শিক্ষার জন্য উক্ত কলেজে ভর্তি হলেন। কিন্তু পিতার জরুরী টেলিগ্রাম পেয়ে দেশে চলে আসার কারনে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা শেষ করা সম্বব হয়নি। তারপরও তিনি অনর্গল ইংরেজিতে বক্তৃতা করতে পারতেন সংসদে। মাওলানা শামছুল হুদা দেশে ফিরে আসার পর সামাজিক অবস্থা ও জনগনের করুনদশা দেখে ব্যাথিত হয়ে পরেন। বিশেষ করে জমিদারদের অত্যাচারে দেশের জনগন সর্বশান্ত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করা সহ মুসলমান প্রজারা গরু কোরবানী করতে পারতোনা। যদি কোন মুসলমান গরু কোরবানী করত তা হলে জমিদারদের লাঠিয়াল বাহিনী জরিমানা আদায় করত। মাওলানা শামছুল হুদা এর প্রতিবাদে আন্দোলনের ডাক দেন এবং হোসেনপুর এলাকায় ঈদের জামাতে নামাজ আদায় করে প্রকাশ্যে গরু কোরবানী করেন। এরপর হতেই ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, জমিদারদের বিরুদ্ধে আন্দোলন, পাকিস্থান বিরোধী আন্দোলন সহ দেশের মেহনতি কৃষকদের মুক্তির জন্য সারা জীবন আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন। আন্দোলন করার কারনে ব্রিটিশ সরকার, জমিদার সংগঠন এবং পাকিস্থান সরকার ১০১৭টি মামলা দায়ের করেন মাওলানা পাচঁবাগী সাহেবের নামে দায়ের করেন। তিনি সকল মামলা সাহসীকতার সাথে মোকাবেলা করেন। এসব মামলার কারনে তাকে ময়মনসিংহ শহরে ৮বছর নজরবন্ধী হিসাবে আটকে রাখে। তিনি সরকার বিরোধী আন্দোলনের জন্য সর্ব প্রথম পাচঁবাগ গ্রামে একটি প্রেস স্থাপন করেন। উক্ত প্রেস হতে ইস্তেহারের মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন পরিচালনা করতেন। তিনি একাধারে সাংবাদিক, সাহিত্যিক, কবি, জনপ্রতিনিধি, অধ্যাত্বিক জ্ঞান সম্পন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ধর্ম, জাতি, বর্ন সকল জনগনের মুক্তির জন্য আজীবন সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। তিনি অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। যে সময় মাদরাসায় শুধুমাত্র আরবি ছাড়া অণ্য কোন বিষয় সিলেবাসে অর্ন্তভুক্ত ছিলনা তখনকার সময়ে তিনি তার প্রতিষ্ঠানে বাংলা, ইংরেজি, বিজ্ঞান, গনিত সহ সিলেবাস বর্হিভুত পড়াশোনা করাতেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে মাদরাসা শিক্ষা আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নীত হয়েছে। তার প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা শেষে সারা বাংলাদেশে অসংখ্য ছাত্র নিজ নিজ এলাকায় আধুনিক আলিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে ইসলামী শিক্ষা প্রসার করে। যা বর্তমানে মাদরাসার রোডম্যাপ হিসাবে পরিচিত আধুনিক শিক্ষায় পরিনত হয়েছে। তিনি নারী শিক্ষার অগ্র পথিক ছিলেন। তিনি নিজ বাড়ীতে বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। তদানিন্তন পাকিস্থানে সর্ব প্রথম তার দুই মেয়ে কামেল পাশ করেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয় ভুমিকা পালন। ভারত বর্ষ স্বাধীন হওয়ার সময় মাওলানা শামছুর হুদা পাকিস্থানের বিরোধীতা করে সংসদে প্রস্তাব পেশ করেন যে বাংলা রাষ্ট্র হবে পশ্চিম বাংলা, পুর্ব বাংলা, আসাম, ত্রিপুরা এই অংশ নিয়ে। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার কৌশলে বাঙ্গালী জাতি যাতে পৃথিবীর শক্তিশালী জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে তার জন্য পাকিস্থানের সাথে পুর্ব বাংলাকে এক রাষ্ট্রে পরিনত করে দিয়ে যায়। ১৯৪০ সালের পর হতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন জোরে সোরে শুরু হয় দীর্ঘ বছর পরে হলেও তারই ধারাবাহিকতায় স্বাধীন বাংলাদেশ হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান পেয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে মাওলানা শামছুল হুদার অবদান রয়েছে। মাওলানা শামছুর হুদা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেন। রাজাকার, আলবদর ও পাকিস্থানী হায়েনাদের হাত হতে হিন্দু, মুসলমান ও অগনিত মেয়েদের রক্ষা করতে তার বাড়ীতে মসজিদে ও মাদরাসায় আশ্রয় দান করেন। তাদের ইজ্জত ও জীবন রক্ষা করে স্মরনীয় হয়ে থাকেন। তিনি সকল আশ্রয়দানকারীদের খাবারের ব্যবস্থা করতেন এবং মুক্তিযুদ্ধে আগ্রহী যুবকদেরকে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনের জন্য নির্দেশ দিতেন। তার পকিস্থান বিরোধী ইস্তেহার গুলির মধ্যে একটি হলো “মিছে কেন পাকিস্থান জিন্দাবাদ, ইংরেজকে তাড়াই পাঞ্জাবী আনতে যাই, বাংলা নহে স্বাধীন, বাংলা চির পরাধীন” “পাকিস্থান হয় ফাঁকিস্থান, পাকিস্থান হবে জালেমের স্থান”। সুত্র: মাওলানা শামছুল হুদা পাঁচবাগী (রহ:) লেখক অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আন্ওয়ার উল্লাহ গ্রন্থ ।

No comments

Powered by Blogger.